মেয়েটা
মেয়েটা
———–
মেয়েটার সঙ্গে যেখানে-সেখানে, যখন-তখন দেখা হয়ে যায়।
হয়তো চিরন্তন পথে হাঁটা, আর রোদ ঝাঁ ঝাঁ করছে মাথায়, অনভ্যাসের ওড়না টেনে ছায়ার খোঁজ। জলতেষ্টায় বুক কাঠ হয়ে আছে; জল না হলে মরীচিকাই সই…
হয়তো বেজায় ব্যস্ত, ফিরে দেখিনি কোথায় রয়ে গেল একফোঁটা টলটলে চোখের জল।
হয়তো বিষণ্ণ রাত্রি বয়ে যাচ্ছে এক প্রহর থেকে আরেক প্রহরে। অন্ধকারে জোনাকি পোকার মত ক্লান্তিহীন মনের মধ্যে ঘুরে যাচ্ছে একথা, ওকথা, এক যন্ত্রণা থেকে আরেক যন্ত্রণার গুঞ্জন।
হয়তো হাত বাড়ানো, তারপর একমুঠো বালি, বালিঘড়ির মতো ফুরিয়েই যাবে জেনে মুঠো খুলে দেওয়া।
হয়তো…
প্রতিবার, তলিয়ে যেতে যেতে এই মেয়েটা দুম করে ছুটে আসে।
“কী করছিস?”
“এই… জানি না… কিছুই না মনে হয়।“
“কে বললে?”
কথা শুনে হাসি পায়।
“কেউ না। এমনি, মনে হল!”
ভ্রূ কুঁচকে সে বলে, “দ্যুৎ!”
সব কেমন টলোমলো হয়ে ওঠে অমন প্রত্যয়ের সামনে। জিজ্ঞাসা করি, “তবে?”
ঘাড় কাত করে ফিসফিস করে বলে, “বেঁচে আছিস। আছিস না, বল?”
তারপর যেমন এসেছিল, তেমনি মিলিয়ে যায় তড়িঘড়ি। পুতুলখেলার ডাক পড়ে তার হয়তো বা।
শুধু হাসিটা রেখে যায়। সামান্য একটুকরো হাসি।
সে হাসির আলো চারদিকের ছায়াকে ভেংচি কেটে বলে, “দ্যুৎ!”
Rituparna
July 16, 2021 - 5:16 am ·Boddo mishti go…lekha r meyeta
admin
July 18, 2021 - 9:45 am ·Thank you. 🙂
Joydeep Lahiri
July 16, 2021 - 5:17 am ·এই কবিতা কেন যে গ্রুপে নেই জানি না বাপু
admin
July 18, 2021 - 9:44 am ·🙂