কবিতা, পরবাস-৭৬, সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কবিতা, পরবাস-৭৬, সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অসহযাপন – ১

মন কেমনে রাত ঢলে যায়,
কষ্ট বাড়ে। কষ্ট বাড়ে।

অবাধ্য হও। অবোধ্য হও।
কষ্ট বাড়ে,
কাঁপতে থাকি
অচিন জ্বরে,

বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে
ঘুম কেড়ে নিয়ে,
জ্বলতে থাকো
হাড় পাঁজরে।

কাঁদবো, জানো? ঠিক কাঁদবো।
লজ্জাশরম ভাসিয়ে দিয়ে
একটু পরে।

ওই দুহাতে আঁকড়ে রাখো,
আগলে রাখো, শক্ত করে!

অসহযাপন – ২

একটা মানুষ, একলা মানুষ

হারিয়ে যাচ্ছে ব্যস্ত পায়ে
দৌড়ে দৌড়ে
নিয়ম রাজ্যে,
হারিয়ে যাচ্ছে থম বিকেলের গুমোট পথে,
অনেক কাজ যে…

শীতের বাতাস তার শরীরে যতই মাখাক আদরকণা,
বুকের মাঝে বিষণ্ণ এক আধখানা চাঁদ
আটকে থাকে।
কাঁপতে থাকে,
কাঁদতে থাকে

একটা মানুষ, একলা মানুষ,
আকাশ ছোঁওয়ার মতন চলায়
হারিয়ে যাচ্ছে

হারিয়ে যাচ্ছে
ফিরবে বলে
কাজলকালো মেঘের বুকে,

আচম্বিতে,

বজ্র হয়ে বিঁধবে বলে,

আকাশ বাতাস বৃষ্টিবেলা
থমকে থেমে,
আর কতদিন
আর কতদিন…

হঠাৎ ফিরে,
ঝলসে দেবে সবার দুচোখ –
ঝলসে দেবে যাপনগ্লানির ব্যর্থতাস্তূপ, অন্তঃপুরে

এখন নাহয় একটু শুধু কষ্ট থাকুক
তার জন্য
পাঁজর জুড়ে;

তার জন্যও
বুকের মাঝে,
অন্য কারো বুকের মাঝে

কাঁপতে থাকে
কাঁদতে থাকে
বিষণ্ণ সেই চাঁদটুকরোর
বাকি আধেক।

ছিন্নভিন্ন জ্যোৎস্না, তোরা

শিকড় হয়ে আঁকড়াতে শেখ!
(পরবাস-৭৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)

Leave a Comment