• বই Books
    • আমার বই My Books
    • অন্যান্য বই Other Books
  • তিতিরপাখির ব্লগ Titir Pakhi Blogs
  • ওয়েব জিনের লেখা Webzines

অনুষ্টুপ শেঠ

  • টুকিটাকি Random Thoughts
  • ছবি PAINTINGS
  • গ্যালারি Gallery
  • যোগাযোগ Contacts
  • Log In
আমার আঁকা ছবি
প্রতীক্ষা

কলমে – Rajarshee Gupta

রাজকুমার বলে গিয়েছিল, “আসব।”
সে জিজ্ঞাসা করেছিল, “কবে?”
— “যেদিন শ্রাবণসন্ধ্যায় তোমার উঠোনের জুঁইলতায় প্রথম ফুলের সুবাস ছুটবে। সেদিন আসব, তোমাকেও নিয়ে যাব।”
— “ঠিক?”
— “ঠিক।”
— “কিন্তু তুমি আসবে কী করে পথ চিনে? তুমি তো এ গাঁয়ে আসোনি কখনও এর আগে। আজ পথ ভুলে এসে পড়েছ।”
— “ঠিক আসতে পারব। তোমার উঠোনের জুঁইফুল আমাকে পথ চিনিয়ে আনবে।”
— “সে গন্ধ যে বড় চঞ্চলা, বড় খেয়ালী। প্রৌঢ় কদম্বপরিমলের মতো তার দৃঢ় মন নেই যে। সে কি পারবে?”

রাজকুমার অনেকক্ষণ তার দিকে চেয়ে থেকে বলেছিল, “তবে তুমিই পথ দেখাবার ভার নাও।”
তার শান্ত চোখে ঔৎসুক্য জেগেছিল। জেগেছিল আশঙ্কাও। সে বলেছিল, “ভার? আমি যে কোনও কাজের ভার নিইনি কোনওদিন। আমি তো ছোট, কেউ তাই আমাকে কিছুর ভার দেয় না।”

— “বড় হওয়ার সময় এসেছে। আমার প্রতীক্ষায় বড় হও। আমায় পথ দেখানোর মধ্যে দিয়ে বড় হও। সন্ধ্যায় যখন আকাশ থই হারিয়ে ফেলে, সূর্য যায় ডুবে আর চাঁদের ঘুম যখন ভাঙে না, তখন আকাশকে পথ দেখিয়ে একটি তারা বলে, ‘ভয় নেই, এই তো আমি আছি। পথ আছে। আমার আলোয় দেখে নাও।’ তুমি আমার সেই তারাটি হও। রোজ সন্ধ্যায় তুমি একটি প্রদীপ জ্বেলে দুয়ারে দাঁড়িও। তারই আলো জুঁইয়ের গন্ধকে করে তুলবে গাঢ়।”

— “কেমন সুন্দর তুমি বলো রাজকুমার। বেশ, তাই হবে। জুঁইসুবাসের আছে গতি, আর প্রদীপশিখার আছে অন্তর্দৃষ্টি। দুইয়ে মিলে তোমার পথচলা সহজ করুক, আর তোমাকে দ্রুত এনে দিক আমার দুয়ারে। আমি অপেক্ষায় থাকব।”

রাজকুমার চলে গিয়েছিল। না, ঘোড়া ছিল না তার। পরনে ছিল না সোনার সুতোয় বোনা আংরাখা, কোমরে ছিল না বাঁকা তলোয়ার। তার মাথায় ছিল অরণ্যের মহাবটের মতো গম্ভীর জটা আর মুখে ছিল চাঁদের কণার মতো হাসি। লাঠি হাতে তুলে, ঝোলা কাঁধে নিয়ে রাজকুমার চলে গেল।

সেই থেকে সে রোজ সন্ধ্যায় দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকে রাজকুমারের প্রতীক্ষায়। প্রতি বর্ষায় তার উঠোনের জুঁইলতায় ফুল ধরে। তার হাতের প্রদীপে তেল ফুরায়, জুঁইফুল শুকিয়ে ঝরে পড়ে মাটিতে। কিন্তু তার প্রতীক্ষার অন্ত নেই। তার চুলের অন্ধকার ফিকে হতে শুরু করেছে।

তাকে শুধালাম, “কীসের আশায় আজও এমন জুঁইগন্ধী প্রদীপ নিয়ে দুয়ারে দাঁড়াও? কীসের প্রতীক্ষায়?”

সে বলল, “প্রতীক্ষা কেন হবে? প্রতীক্ষা আমার ফুরিয়েছে। আমার ঘরছাড়া রাজকুমারকে ঘরে থেকে পথ দেখানোর আর লোক নেই যে। তাঁর পথ তিনি খুঁজে নিয়েছেন, ঘরও তিনি চেনেন। আমার দুয়ার ছাড়া সে ঘরে আর প্রবেশ করা যায় না নাকি? আমি জুঁইগন্ধী প্রদীপশিখায় তাঁকে সেই দুয়ারের পথ দেখাই।”

« সকালবেলার রোদ্দুর। আগুনরেখা »
আলোয় ফেরা…
সাঁকো।
ধূপছায়া…
নির্জনে….
বনপথ।
ভোরাই।
নাগরিক সূর্যাস্ত।
সাঁকো।
ছায়াপথ।
পাহাড় ডাকছে।
বিশ্রাম।
উড়াল।
আরণ্যক।
ভারতবর্ষ।
ক্ষণিকের…
নির্জনে….
চরৈবেতি….
নিশা। নেশা।
নীড়।
নিশিডাক।
গ্রীষ্মদিন।
নৈকট্য।
নিষিদ্ধতার পাড়ায়।
যন্ত্রণার ঘরদুয়ার।
যুগল।
নিশিযাপন
কথা
অন্দরমহল
আঁকিবুঁকি – ১
আঁকিবুঁকি – ২
আঁকিবুঁকি – ৩
আঁকিবুঁকি – ৪
আঁকিবুঁকি – ৫
আঁকিবুঁকি – ৬
আঁকিবুঁকি – ৭
আঁকিবুঁকি – ৮
আঁকিবুঁকি – ৯
আঁকিবুঁকি – ১০
আঁকিবুঁকি – ১১
আঁকিবুঁকি – ১২
আঁকিবুঁকি – ১৩
আঁকিবুঁকি – ১৪
আঁকিবুঁকি – ১৫
আঁকিবুঁকি – ১৬
আঁকিবুঁকি – ১৭
আঁকিবুঁকি – ১৮
আঁকিবুঁকি – ১৯
আঁকিবুঁকি – ২০
ঢেউ – ১
রোদ
সাদা কালো
পানাপুকুর
আদর – ১
সাঁঝতারা
অপেক্ষাতে
বাতিঘর
একাকী
এক অঙ্ক বিরতিরও, অসন্তাপে। – ১
এক অঙ্ক বিরতিরও, অসন্তাপে- ২
ঘুড়ি – ১
বাতিঘর – ২
সমুদ্র – ১
পাতালগঙ্গা
প্যান্ডেল
গভীরতা
ঘুড়ি – ২
ঘরে ফেরার বেলা।
আমার আকাশ, আমার নদী।
Happy Diwali
রাতপাখি
নগরযাপনের দিন।
সন্ধ্যা
সমুদ্র – ২
কলঙ্ক
নদীর সাথে গল্প ছিল…..
অ্যাকোয়ারিয়াম
“রুক্ষ, বড় রুক্ষ ছিল পথ-ও….
রক্তক্ষরণ
মুখোমুখি, রাতের গল্প।
ছোট্ট নদীটি….
আদর – ২
কিসসাওয়ালা
বেঁচে থাকা
মোহজন্ম
কথা
দূরত্ব – ১
প্রাণ
বাংলার মুখ।
পথিক – ১
বাড়ি ফেরার রূপকথারা।
“সব পাখি ঘরে আসে, সব নদী। “
Living life and not leaving it!
বৃষ্টি – ১
বৃষ্টি – ২
রং – ১
দোলযাত্রা।
বৃষ্টি – ৩
যন্ত্রণা – ১
পথ।
নৌকো
শুভ নববর্ষ ১৪২৬
শূন্য
“ভেসে যায় ভেলা এবেলা ওবেলা একই শবদেহ নিয়ে”…
বর্তমানের চোখে অতীত।
বেলাশেষে, খেলা শেষে।
যন্ত্রণা – ২
যন্ত্রণা – ৩
বেয়াদবি
মৃত্যু
“হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি…..”
আলো – ১
“সঙ্গে তুমি নেই বলেই তো… “
বৃষ্টিবিকেল।
“আমায় ভাসাইলি রে… “
“এই খেলাটা একলা আমার, তোর সেখানে খেলতে মানা। “
যাত্রী
ঝলমলে হোক বেঁচে থাকার মূহুর্তেরা।
ঘরে ফেরার বেলা।
অপেক্ষার বড্ড ভার…..
আসবে বলে….
যে পথে আর ফেরা যায়না….
অসত্য
শরীর
অবহেলা।
নিষ্পলক।
খোঁজ – ১
আলো-ছায়া
মুখোশ
আগলানো
সম্পর্ক
অরণ্য
সমুদ্র – ৩
দহন
নদী
মায়া
মনকেমন
শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।
বাঁচার বেদন
রাত্রি
রাতপাখি – ২
পুনর্জন্ম
বাংলা।
সাত সাগরে
কথা – ৩
আদর – ৩
“অকারণের সুখে… “
দোলপূর্ণিমা
পাখি –  ২
একলাযাপন
ঘর
স্মৃতি
ঢেউ- ২
খোঁজ – ২
আগুন
বৃষ্টি – ৫
অভিমান
সময়
সুখ।
বৃষ্টি  – ৬
“আসছো কবে? আসছো কবে? আসছো কবে? “
আমন মরসুম
ডাক
ঝড়
অভিসার
একটি নদীর জন্ম।
আদর – ৩
যাত্রা
সত্য
অন্ধকার
ক্লান্ত
জীবন
আলোমাখা অক্ষর
মেঘ – ১
আশ্বাস
মধ্যরাতের প্রলাপ
জন্ম
ভালোবাসবে
মাঝবয়েস।
জীবনপুরের পথিক রে ভাই……
মৃত্যুপ্রান্তর
সঙ্গী
বালি, ঢেউ, খুঁটে নেওয়া জীবনের দানা…..
নিঝুম
প্রেম ও বিরহ।
জ্যোৎস্না
দাবানল
দূরযাপন
গল্প
রং – ২
মুহূর্ত
বৃক্ষছায়া
নির্জনতা
ফিঙে
সবুজ
বৃষ্টি – ৭
সমুদ্র – ৪
বৃষ্টি – ৮
মেঘ – ২
আলো – ২
আঁকিবুঁকি – ২১
আঁকিবুঁকি – ২২
আঁকিবুঁকি – ২৩
আঁকিবুঁকি – ২৪
অনন্তসম্ভব।
“তোমার সঙ্গে বাঁচতে, একটা দিনের জন্ম হয়।”
আনন্দসম্ভার।
অন্দরমহল
রক্ত-পালক
সাড়া
সকালবেলার রোদ্দুর।
প্রতীক্ষা
আগুনরেখা
ঈশ্বরকথা।
বিল্লিবাসা
সন্ধ্যা
“ছিলো, নেই- মাত্র এই”
অন্তহীন
নিরুদ্দেশ
একলা গাছ
মায়ানগরী মুম্বই…
পরদেশী মেঘ……
পাহাড়
গণেশ
এক চিলতে আনন্দ
জল
যাত্রা
দ্বিধাহীন প্রশ্ন
সূর্য ডোবার পালা…
অলীক মায়া
নিরুদ্দেশ যাত্রা
যাওয়ার কথা
আলো
চেনা – অচেনা পথ
নির্জনতর যাত্রা
শিশিরের কণা
পাখিধর্ম
ঝড় – ২
পথের খোঁজে
অজানার উজানে
যূথীবন
ঝরোঝরো
ফাটল ভরা দিন
জোনাকি
শ্রাবণ
Back To MY PAINTINGS


Leave a Comment Cancel Reply

© অনুষ্টুপ শেঠ 2021
Developed & Maintained by Marbridge Solutions