আশ্চর্য মেঘ
কাল আশ্চর্য মেঘ করেছিল আকাশে। নীল আর সাদায় যেন কেউ দাগ কেটে আলাদা করে দিয়েছে দুই ভাগে। তার মাঝেই ‘কুমির তোর জলকে নেমেছি’ ঢঙে সাদা থেকে নীল ছুঁয়েই আবার সাদায় উড়ে গেল একটা কাক।
এই আশ্চর্য মেঘ যদি ছবিতে আঁকি, যদি এমন অসমঞ্জস বিন্যাসে ভরাই ক্যানভাস, তবে মনোমত হবে কি? না, মনে হবে খুব অবাস্তব কিছু। মনে হবে যেন ‘ঠিক হয়নি’। অথচ এত ভাবার দায় এই ছবি-আঁকিয়ের নেই- তাই না তার সৃষ্টির এত বিচিত্র রূপ! এত হাজার বছর পেরিয়েও, সেই একই নীল-সাদা -কালো তিনটে মাত্র রঙের ইজেল নিয়েও সে যা নিত্যনতুন ছবি এঁকে যায়, কোনও মানুষের সাধ্য নেই তার সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার।
হয়তো বা ওই ‘ঠিক হয়নি’ ভাবার দায় নেই বলেই পারে। শৃঙখল সম্পূর্ণ খসে না যাওয়া অবধি তো কেউ মুক্ত হয় না!
আমিও একদিন ঠিক গা থেকে ‘ঠিক হওয়া’র দায় ঝেড়ে ফেলব। ‘মনোমত’ হবার ব্যর্থ যাত্রা ছেড়ে দিয়ে শুধুই হয়ে উঠব আলো-ছায়া আর রঙের খেলাটুকু। যেটুকু হওয়ার মধ্যেই আসলে মনুষ্যজন্মের পূর্ণতা।