কবিতা, পরবাস-৯০, এপ্রিল, ২০২৩
স্বগত উচ্চারণ : অনুষ্টুপ শেঠ
|| ১ ||
কিছু যন্ত্রণারা
অন্ধের ভোরের আলো ছোঁয়ার আকুতির মতো
অসহায়, তীব্র
এবং মুখ ফুটে বলে ফেললে বড়ো হাস্যকর…
|| ২ ||
দুপুরের ঝলসানো আলোর মধ্যে কিছু না বলা কথা পুড়ে যায়।
সে ছাই কুড়িয়ে পাঁজরকুঠুরিতে রাখে যে
সে অন্ধ। জন্মান্ধ।
|| ৩ ||
নিতান্ত একা না হলে কেউ
অন্ধের দুয়ারে এসে বলে না,
নিয়ে চলো, হেরে যাওয়া থেকে বেঁচে ওঠায় নিয়ে চলো…
সে যাত্রা সফল হওয়ার পরেও আঁকড়ে রাখবে দৃষ্টিহীন হাত
এত বোকা অবশ্য কেউই হয় না!
|| ৪ ||
দিন আর রাত্রির লুটোপুটি মিলনের প্রতি
সম্পূর্ণ উদাসীন
এক অন্ধ
ভিক্ষাপাত্র হাতে হেঁটে যায়।
তুমি তাকে চেনো কিনা, কে জানে! কিন্তু
সে তোমার অবহেলা চেনে…
|| ৫ ||
পথপার্শ্বে জাগরূক সন্ধ্যাটি তাকে ঘিরে রেখেছিল
বেলফুলের হৃদস্পন্দনে মুখর সময়ে।
কিন্তু তার চোখে অনাদিকালের দৃষ্টিহীনতা
বলে দেয়, সে এই বাসরের কেউ নয়।
|| ৬ ||
সমুদ্রের বাতিঘর,
তুমি তো অন্ধকে পথ দেখাতে পারো না!
তবে সে কেন তোমার দিকে মুখ ফিরিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এই রাত্রে?
তবে কি তাকে
বেলাভূমির পাথর
ঢেউ
একাকী মরণঝাঁপ
ডাক দিল!
|| ৭ ||
কিছু ভাঙনের কোনো শব্দ থাকে না
শুধু অন্ধদৃষ্টি হাতড়ে হাতড়ে হাত বুলিয়ে ভাবে,
কী অপূর্ব এই ডিজাইন!